নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘যে দোষ করিনি, সেই দোষে শাস্তি পেলাম। এই দুঃখটা মনে রয়ে গেল।’ শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা আজ সোমবার শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
রায়ের সময় ড. ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আবেদনের পর তাঁকে এক মাসের মধ্যে আপিল করার শর্তে জামিন দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায়কে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শ্রম আদালতের এ রায় অপূর্ণাঙ্গ। ড. ইউনূস আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাননি।
রায়ে ড. ইউনূসের পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। শ্রম আইন লঙ্ঘনের যেসব ধারায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, সেসব ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা। ড. ইউনূসসহ চারজনকে দুটি ধারায় দণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেছিল সরকারি সংস্থা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাঁদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না। মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না।
Source: https://www.prothomalo.com/bangladesh/orzmloay1h